স্কুল-কলেজে ছাত্র ছাত্রীরা মুলত দুধরনের হয়ে থাকে। এক, যাঁরা ক্লাসে সিরিয়াস, নোট তৈরি করে , পড়াশোনা মন দিয়ে করে, পরীক্ষার খাতায় চোখ ধাঁধানো উত্তর লেখে ।দুই, যাদের মন সবসময়ই ‘উরুউরু’, ক্লাসে বসে জানলার বাইরে চেয়ে থাকে, বই খুললেই এদের ঘুম পায়, পড়ার কথা শুনলেই কান্না পায়। যাদের পড়া কালের ঘরে বিরাজ করে যার ফলে কখনো কখনো পরীক্ষার খাতাকে বানিয়ে তোলে জোকসে্র বই।
এরকমই একটি প্রি বোর্ড পরীক্ষার অঙ্ক খাতা ইতি মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাই সাইটে। পরীক্ষার খাতায় ছাত্রের তাঁর উত্তর দেখে শুধু পরীক্ষক নন, নেটিজেনরাও অবাক। কেউ কেউ বলছেন, “একে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হোক। এমন প্রতিভা যেন দেশের বাইরে না যায়।”
বিষয়টি খোলসা করে বললে এই রকম দাড়ায় যে, বোর্ড পরীক্ষায় ওই ছাত্র খাতার উপরে নিজের নাম, রোল নম্বর, বিষয় সব ঠিকঠাকই লিখেছেন। এমনকী প্রশ্নের নম্বরও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু উত্তরের জায়গা যা লিখেছেন, তাতে সকলের চক্ষু চড়কগাছ পরীক্ষকের।
অঙ্ক না কষে ওই ছাত্র লিখেছেন, “আমার উত্তর আসে না, আমার নিউমেরিক্যাল আসে না, আমার সলিউশন আসে না। তাহলে কী চাই? ফ্যান্টা ফ্যান্টা, আমার চাই ফ্যান্টা ফ্যান্টা।” এমন ‘উত্তর’ দেখে শিক্ষকের মাথায় হাত। অঙ্ক পরীক্ষার খাতায় যে কেউ এমন কিছু লিখতে পারে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। প্রশ্ন ছিল অঙ্কের, তার উত্তরে একেবারে ঠান্ডা পানীয়র আবদার?ইনস্টাগ্রামে rvcjinsta নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তরপত্রের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভাইরাল। ৪ লাখের বেশি ভিউ। লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের বন্যা।
তবে পরীক্ষকও কম যান না। এই খাতায় ‘ফ্যান্টা ফ্যান্টা, আমার চাই ফ্যান্টা ফ্যান্টা’ লেখার উপর গোল্লা পাকিয়ে এক লাইন লিখে দিয়েছেন তিনিও, “অফিসে দেখা করো”। তিনি ওই ছাত্রকে ফ্যান্টা দেবেন, না কি ধমক, তা শুধু তিনিই জানেন।
কেউ কেউ তাঁকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুলেছেন, “পরীক্ষার খাতায় বিনোদন দেওয়ার জন্য জাতীয় পুরস্কার”।