নিউজডেস্ক: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আজ (৬ অক্টোবর) লাদাখের সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ সোনম ওয়াংচুকের আটকাদেশ নিয়ে তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো-র করা আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্র সরকারকে নোটিস জারি করেছে।
ওয়াংচুককে সম্প্রতি লাদাখের সহিংস সংঘর্ষের পর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (NSA), ১৯৮০-এর অধীনে আটক করা হয়।

বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি এন.ভি. আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ জানায়, মামলাটি আগামী ১৪ অক্টোবর শোনা হবে।

এই রিট আবেদনটি সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে হেবিয়াস করপাস (Habeas Corpus) হিসেবে দাখিল করা হয়েছে, যেখানে ওয়াংচুকের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। আবেদনে বলা হয়, আটকাদেশের কোনো “কারণ” বা grounds of detention তাঁদের জানানো হয়নি, যা সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল সরকারের কাছে জানতে চান কেন আটকাদেশের কারণ ওয়াংচুকের স্ত্রীকে জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, সোলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আইন অনুযায়ী স্ত্রীকে সেই কারণ জানানো বাধ্যতামূলক নয়।

সিব্বল জানান, আটকাদেশের যুক্তি না জানলে সেটি চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব নয়। এর পর আদালত জানায়, আপাতত কোনো নির্দেশ দেবে না, তবে বিষয়টি পরবর্তী শুনানিতে বিবেচনা করা হবে।

সিব্বল আরও আবেদন করেন, ওয়াংচুকের চিকিৎসা সহায়তা ও স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হোক। আদালত বলেন, আগে সেই অনুরোধ আনুষ্ঠানিকভাবে করতে হবে, না হলে আদালত নির্দেশ দিতে পারবে না।

সোলিসিটার জেনারেল দাবি করেন, “এইসব আবেগতাড়িত প্রচেষ্টা শুধু মিডিয়ায় ইস্যু তৈরির জন্য।”
শেষে আদালত সিব্বলকে নির্দেশ দেয়, পরবর্তী শুনানিতে জানান, কেন সরাসরি হাইকোর্ট নয় বরং সুপ্রিম কোর্টে আসা হয়েছে।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *