উত্তর প্রদেশের ছাপ মিলল বাংলার পুলিশি অভিযানে। মাত্র দুই ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে খেল খতম বাংলা পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী সাজ্জাক আলমের। যদিও দাবাং ডিজিপি রাজীব কুমারের দুষ্কৃতিদের চারটা গুলি মারার নিদানে জোরদার অভিযানে নামে উত্তরবঙ্গ পুলিশ। ভারত-বাংলা সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারির পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম গুলিতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন সহ শুরু হয় চিরুনি তল্লাশী অভিযান। গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়ায় পুলিশকে গুলি করে ফেরার বিচারাধীন আসামি সাজ্জাক আলমের সহযোগী আব্দুল হুসেন ওরফে আবালের স্ত্রী কমরুন্নেসাকে আটকের পরই সাজ্জাক ও আব্দুলের বাংলাদেশ পালানোর খবর পায় পুলিশ। এরপরই খবর পেয়ে শনিবার ভোর নাগাদ গোয়ালপোখর থানার কিচকটোলা এলাকায় সাজ্জাকের হদিস পেয়ে তাঁকে আত্মসমর্পন করতে বলে পুলিশ। কিচকটোলা ঘটনাস্থল থেকে ভারত-বাংলা সীমান্তের দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। বাংলাদেশ পালিয়ে যাবার জন্য সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। জবাবে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ গুলি চালায়। ঘটনায় জখম সাজ্জাককে গোয়ালপোখরের লোধন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি সুধীর নীলকান্তের কমান্ডিংয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার এসপি জবি থমাসের পরিচালনায় অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ পুলিশের আইজি রাজেশ যাদব। তবে সাজ্জাকের সহযোগী আব্দুল হুসেনের বিষয়ে পুলিশ কিছু জানায়নি।