রবি আড্ডায় কৌন্তেয় নাগ  

প্রথম পর্ব

(সমাজতান্ত্রিক দেশে, ভয় পেয়ো না এসে)

‘‘নিজের বুকের রক্তে 

নক্ষত্রের উজ্জ্বল অক্ষরে

লিখে রেখো নাম

কালের রাখাল তুমি

তুমি ভিয়েতনাম।’’

— কবি কৃষ্ণ ধরের লেখা। 

 ভিয়েতনাম সংহতি আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলিতে। 

ভিয়েতনাম সত্যিই পশ্চিমবঙ্গে শুধু একটি নাম নয়।

 মাথা উঁচু করে বাঁচার সাহসী শপথ। বাংলার আবেগ অন্তহীন ভিয়েতনাম নিয়ে….হো চি মিনের দেশ দেখার লোভ, সাহস, অহংকারও বলা যায়।

স্বপ্ন দেখা তারা গুলোকে লাল পতাকার পালকে লাগিয়ে দেওয়া। আর আমার স্বপ্নের  ভ্রমণ সার্থক করে তোলা আমেরিকান নাগরিক যিনি এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে মিছিল করেছিলেন ৭২-৭৩ সালে। ভ্রমণ তখনই সার্থক হয় যখন ভ্রমণের তীর্থক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারবেন।

 ‘সমাজতান্ত্রিক-উত্তর’ সময়ের মুখে দাঁড়িয়েও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সফল লড়াইয়ের মূর্ত প্রতীক “হো চি মিনকে”  নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকবে না বাঙ্গালির তাই হয় নাকি।

সেই সময়ে ইউনেস্কোর উচ্ছাসেও লাগাম পরাতে পারেনি ‘নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা’র ধ্বজাধারীরা। ইউনেস্কোর সরকারী প্রস্তাবে হো চি মিন সম্পর্কে বলা হয়: ‘‘ভিয়েতনামিজ হিরো অফ ন্যাশনাল লিবারেশন অ্যন্ড গ্রেট ম্যান অফ কালচার’’।

      ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত ভিয়েতনাম গঠন করতে ও সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনাম নির্মাণে হো চি মিনের অবদান অবিস্মরণীয়। 

তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম মিছিল  সার্থক হয়ে ওঠে তখন, যখন নতুন শপথ নিয়ে নতুন ভিয়েতনাম গড়ে ওঠে। সেই দেশকে দেখতে চলে আসা আমাদের। আগামী কয়েক দিন আছি আমার বন্ধুদের সাথে সেই দেশ দেখার  কথা জানানোর জন্য।

‼️সমাজতান্ত্রিক দেশে, ভয় পেয় না এসে, ‼️

  ভিয়েতনামের রাজধানী,হ্যানয়ের ট্রেন স্ট্রিট, এই নামে (Ngo 224 Le ডুয়ান) জানে সকলে। হ্যানয়, ভিয়েতনামের একটি বিখ্যাত আকর্ষণ। 

এখানে ট্রেনের ট্র্যাকের ঠিক পাশে মানুষের বাড়ি, কফি শপ সহ, খাবারের দোকান, সরু রাস্তা।  বাড়ি এবং ক্যাফে থেকে ৩-৪ ফুট ফুট দূরে ট্রেনগুলিকে অতিক্রম করার ফলে অনন্য এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয় ভ্রমণ পিপাসুদের। রাস্তাটি পর্যটকদের মধ্যে এতটা  জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে বহু আগে থেকে টুরিস্ট এসে বসে থাকে কখন ট্রেন আসবে দেখার জন্য।ছবি তোলার জন্য।

    রাস্তাটি ক্যাফে দোকানে সারিবদ্ধ, যেখানে দর্শকরা বসে ট্রেনের পাশ দিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। 

 রঙিন আলোয় সাজানো, প্রাণবন্ত সঙ্গীতে পরিবেশ করে তোলে অনন্য। যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আপনার হৃদয়ে। পর্যটকরা ফটো তুলতে এবং উত্তেজনা উপভোগ করতে জড়ো হয় এখানে।

   মজার ব্যাপার হচ্ছে  ট্রেনের সময়সূচী সাধারণত ক্যাফেগুলিতে দেওয়া থাকে। 

তাই টুরিস্টরা সেই অনুযায়ী তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারে।  অবশ্যই সেখানে সতর্কতা  লেখা আছে । দর্শকরা যেন ট্র্যাক থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। 

(ছবি : লেখক)

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *