দাবি মতো পণ না মেলায় গৃহ বধূকে মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মহিলার গর্ভস্থ তিন মাসের শিশুর। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানা ব্লকের চিতলঘাটা এলাকায়।
বিয়ের ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও পনের দাবী পূরণ হয়নি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে হয়েছিল রোকিয়া বেগম ও মহম্মদ বাবলুর। সামাজিক ভাবে তাদের বিয়ে হয় চার বছর আগে। গৃহবধূর দাদা মহাম্মদ রাকিবের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পরে থেকে চরম ভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার শুরু করে। গৃহবধূকে বাপের বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হলে সে অস্বীকার করে। এরপরই শারীরিক ভাবে অত্যাচার করা শুরু করে। যার ফলে পেটে থাকা তিন মাসের নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষকে নিয়ে গ্রাম শালিসী বৈঠক করলেও কোনো লাভ হয়নি। বরং উত্তেজিত হয়ে গৃহ বধূর স্বামী মহম্মদ বাবলু তাকে তার বাবার বাড়ি রেখে আসে ও বাবলু ভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার রোকিয়া তার শ্বশুর বাড়ি গেলে তাকে ফের মারধর করে এবং টাকা নিয়ে আসার দাবি করার হয়। ভাশুরের কথা অস্বীকার করলে গৃহবধূর ভাশুর তড়িদ মহম্মদ তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গৃহ বধূ চিৎকার করলে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য তার শ্বশুর হাকিমমুদদিন ফাঁস লাগিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় গৃহ বধূর বাড়ির লোকজন এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।