নিউজডেস্ক:

রামগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে ছাত্রীদের পরীক্ষা খাতা না দেখেই রেজাল্ট ও মার্কসিটে নাম্বার দেওয়া হয়েছে এমনই তথ্য হাতে লেগেছে অভিভাবকদের।
এদিন কিছু অভিভাবকরা সাংবাদিকদের রামগঞ্জে ডেকে দেখান যে কিভাবে ঝাল মুড়ির দোকানে পরীক্ষার খাতায় ঝাল মুড়ি দেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগ পরীক্ষার খাতা কোন মতেই দেখা হয়নি। ছাত্রীরা যেমন পরীক্ষা দিয়েছিল খাতা তেমনি রয়েছে অথচ ছাত্রীদের রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে এবং মার্কসিটি নাম্বারও দেওয়া হয়েছে কিসের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে নাম্বার দেওয়া হলো এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে অভিভাবকদের মাথায়।
এদিন ঝালমুড়ির দোকানে দেখা যায় একটা দুটো পরীক্ষা খাতা নয় একাধিক পরীক্ষার খাতা সে ঝালমুড়ির দোকানে রয়েছে। এ বিষয়ে ঝাল মুড়ি বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি রিক্সাওয়ালার কাছে 14 টাকা কেজি দরে কিনে নিয়েছি। আমি এই সম্বন্ধে এত কিছু জানিনা তাই আমি কিনে নিয়েছি। তবে কি সত্যি স্কুলে পরীক্ষার খাতা না দেখেই বিক্রি করা হচ্ছে। এই দিন রামগঞ্জ ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি রঞ্জিত রায় জানান খুবই দুঃখজনক এই ঘটনা এত টাকা করে মাইনে পাই অথচ স্কুলের পরীক্ষার খাতা বিক্রি করা হচ্ছে এটা অবিলম্বে তদন্ত করা দরকার আমি এটা এখনই জানতে পেরে আমাদের অঞ্চল বডিকে নিয়ে স্কুলে যাব এবং প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলবো অন্যদিকে রামগঞ্জ ১নং অঞ্চলের দলনেতা সিদ্দিক আলম জানান এইভাবে তারা ইস্কুলের ছাত্রীদের সাথে প্রতারণা করছেন। ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে অথচ খাতা দেখা হচ্ছে না স্কুলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে দরকার পড়লে আমরা আইনিও ব্যবস্থা নেবো। যাতে আগামী দিনে এরকম না হয়। এবং ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট না করা হয়। খাতা বিক্রি করবে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু অন্তত খাতা যাচাই করে বিক্রি করুক খাতা যাচাই না করে কিভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারে স্কুল। এটা তদন্ত হওয়া দরকার শাস্তিনগর বুথের মেম্বারের প্রতিনিধি বলরাম নাগ বলেন স্কুলে এত টাকা বেতন পায় তাও তারা ভিখারীর মত ছাত্রীদের পরীক্ষার খাতা বিক্রি করছে এটা বড় লজ্জাজনক ঘটনা এদের কারণে আমাদের রামগঞ্জের নাম বদনাম হচ্ছে । আমি চাই সঠিক তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হক এ নিয়ে আমরা বিডিও এসডিওর কাছেও আমরা অভিযোগ করব বলে জানান।
অপরদিকে এই বিষয়ে শ্যামা প্রসাদ স্মৃতি, রামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষিকা সবিতা মার্ডির কাছে জানতে চাইলে তিনি পরীক্ষার খাতার ব্যাপারটিকে পুরোপুরি অস্বীকার করছেন। তিনি বলেন, সে খাতা আমাদের নয় অথচ পরীক্ষার খাতায় স্কুলের নাম লেখানো আছে এবং শিক্ষিকাদের স্বাক্ষর রয়েছে খাতায় তা সত্বেও তিনি এটাকে অস্বীকার করে এই বিষয়ে কোনো কিছু মন্তব্য করবেনা বলে জানান। তবে এ বিষয়ে কিছু অভিভাবকরা শীঘ্রই স্কুলের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *