প্রথমে রাজি থাকলেও পরে বিয়ের ঠিক কদিন আগে বিয়ে করতে রাজি হয়নি পাত্রী। অন্য দিকে বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। দুজনের বাড়িতেই বিয়ের আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাত্রী বেঁকে বসায় তা মেনে নিতে পারেননি ঐ যুবক। এরপরই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় সাহিল কুমার নামে যুবকটি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে‌ রায়গঞ্জে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক সাহিল কুমার (২৩) পাঞ্জাবের ফাজিলগাঁও জেলার জেলালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। রায়গঞ্জের সুপারমার্কেট এলাকায় একটি নামি সেলুনে কর্মরত ছিল সে । মৃত যুবকের মা সন্তোষ রানি(৪৮) সেলুনের মালিক অনুপ দে ও সেলুনে কর্মরত ভক্তি রানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেখানে লেখা হয়, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভক্তি রানির সঙ্গে সাহিল কুমারের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বিয়ের কেনাকাটাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাত্রী গত ২৮ জানুয়ারি জানায় তাঁর পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয় সাহিলকে। তাঁর সঙ্গে অন্য এক পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে ওই যুবতীর সঙ্গে ঝামেলাও হয়। এরপর ৩০ জানুয়ারি সাহিলকে তাঁর মা ফোন করলে ওই ফোনটি ধরে দোকানের মালিক অনুপ দে। অনুপ জানায়, তাঁর ছেলে বাইরে গিয়েছে। ফোনটি তাঁর কাছে রেখে গিয়েছে। এরপর ৩১ জানুয়ারি ফোন মারফত জানায় ছেলে রায়গঞ্জ রেলস্টেশনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে মারা গিয়েছে।মৃত যুবকের মা বলেন, ‘আমার ছেলে দুই বছর ধরে এই সেলুনে কাজ করত। সমস্ত টাকা জমা ছিল মালিকের কাছে এছাড়া আমার ছেলের কাছ থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচুর টাকা হাতিয়েছে ওই যুবতী। আমি চাই অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।‘

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *