রবি আড্ডায় আফতাব হোসেন
ধান জমি নাই শালকুর বাপের । মুখ ঢাকা রোগটার সময় থেকেই , যেবার শালকুর বউটার কাশি ধরলো , সেদিন থেকেই শালকু বুড়া বাপ মা কে আলাদা করলো হাঁড়ি সমেত । বাঁচাতে নাকি মারতে কে জানে ।
বুড়ো বুড়ির নতুন হানিমুন তখন থেকেই । শুনলাম সামন্ত দের লোকটা তখন থেকেই নাকি রেশন ফাঁকি দেয় এবাজারেও । তাও ক্ষুদ চাল আর সকালে মাহাতদের জমির লাল শাক । তাতেই বুড়া বুড়ির চেহারা ঠিক , ফিট ও…
শোনাল খড়ের দাম চড়া , ভাতা পেলে ছাইবে ।
তিরিশ বছরের ছোট প্রাণের ধন কে নিয়ে ধনতেরাস চেনাতে গেছলাম, শালকুর বাপের ঘরে । দেখালো শালকুর বাপ সব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ।
দেখালো
খেজুর গাছে গা চিরে আল্পনা দেওয়া রসের আশায় ,
দেখালো কয়েতবেল মাখা ,দেশী মোরগের ঝুঁটি মাথায় দিয়ে রাজা হওয়া ,কাদা মাখা হাসের পালকে আলতা ডুবিয়ে ছবি আঁকা , বট গাছের মাথায় হাওয়ার দুলে একানরে ভুত ভেবে ছেলের কি হাসি ।
ভাঙ্গা চালের ভাত খেলাম মাটির হাঁড়িতে অনেকদিন পর । ধোঁয়ার গন্ধে এলার্জি থাকলেও বাপ ব্যাটা কারো কাশি হয়নি এখনো । মাঝে সিলেবাস কমন ,কাঠ জ্বালিয়ে দুধ গরম দেখে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞাসালো ,- বাবা প্রিমিটিভ মেন কি এখনো আছে ?
দু ঘরের এককোনে ঠাকুর উঠোন রেডি দেখলাম । ঠাকুর বানাচ্ছে বুড়োর ছোট্ট নাতি ,ছেলেও নরম মাটি পেয়ে হাত লাগলো খানিক । নিজে হাতে
‘ গড ‘ তৈরি করা যায় জেনে সেও অবাক পুরো ।
বুড়োর নাতি তৈরি করেছে বাঁশ ডাল কেটে বাঁশের ফটকা । কাগজের গুটলি পাকিয়ে বাঁশ পটকার আওয়াজ শুনে ছেলেবেলা জাগলো খানিক । শালকু ব্যাটা ব্যস্ত খুব বাদনা পরবে শুনলাম ।
দিন গড়ালো
আসার সময় দেখলাম বুড়ো কিছু বোঝাচ্ছে দুই নাতিকে ,আঙুল তুলে ওই জ্বলন্ত হেঁশেল দেখিয়ে ।
পরে শুনলাম ,
শাল্ কুর বাপ মোমবাতি জ্বালাবে কখন এর উত্তরে
বোঝাচ্ছিল ,
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মোমবাতির নাম
‘ উনুন ‘