
গতকাল প্রশাসনের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে রাত এগারোটা নাগাদ মীনাক্ষী মুখার্জি হাজির হলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিহত সমর্থক মনসুর আলির বাড়িতে। সাথে ছিলেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক আনওয়ারুল হক। মনসুরের সমাধিস্থলে পৌঁছে জানালেন শ্রদ্ধা।
দাসপাড়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম গেন্দাগছ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত সিপিআইএম সমর্থক মনসুর আলির বাড়ি।
শীতের এত রাতেও মীনাক্ষী আসবে শুনে লালবাজার – দাসপাড়া – এমনকি গেন্দাগছ গ্রামেও হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন অপেক্ষায় ।
“এই ইনসাফ যাত্রার মাধ্যমে মনসুরের খুনের ইনসাফ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোপড়ার গণতন্ত্র হত্যার ইনসাফ সুনিশ্চিত হবে” বলে জানান প্রত্যয়ী বাম রাজনীতির যুব আইকন মীনাক্ষী মুখার্জি।
কোচবিহার থেকে কোলকাতা যুব ফেডারেশনের ইনসাফ যাত্রা মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় এসে পৌছায় চোপড়া ব্লকের কালাগছে, তখনও মানুষের উপচে পড়া ভীড়।
কালাগছের পথসভা শেষ করে ডিওয়াইএফ নেত্রী মীনাক্ষী সহ অন্যান্য যুব নেতৃত্ব হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিহত মনসুরের বাড়ি যাবেন তারা। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো সমস্যায় পড়ে যান চোপড়া থানার পুলিশ প্রশাসন।
গেন্দাগছ পৌঁছে তাদের শহীদ মনসুরের কবরে শ্রদ্ধা জানান যুব নেতৃত্ব, পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন মীনাক্ষীকে কাছে পেয়ে।
চোয়াল শক্ত করে বাইরে এসে মানুষের সাথে কথা বলেন বাম নেতৃত্ব, অত রাতোও তখন গেন্দাগছ গ্রামে জনপ্লাবণ। শেষমেশ মাইকে করে মানুষের জন্য বার্তা দেন যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি সহ অন্যান্যরা।
কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ও প্রচার ছাড়া শীতের গত মাঝ রাতে চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া অঞ্চলে জনস্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো।