কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩৬টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আজ, সোমবার থেকে দু’দিনের পেন-ডাউন বা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। এর মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবারই সরকারি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের অর্থসচিব মনোজ পন্থ জানিয়ে দিয়েছেন, খুব জরুরি চারটি কারণ ছাড়া কেউ আজ ও কাল কিংবা আজ বা কাল কাজে যোগ না-দিলে তাঁর চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ওই দু’দিন যাঁরা অফিসে আসবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ওই দু’দিন ‘ব্রেক ইন সার্ভিস’ বলে বিবেচনা করা হবে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যাঁরা আসবেন না, রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে একটি শোকজ নোটিশ জারি করবে। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেলে ওই সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসচিবের নির্দেশিকাকে ‘কালা নির্দেশিকা’ বলে দাবি করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মঞ্চ পাল্টা আইনি চিঠি দিয়েছে। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মচারী আইনি অধিকার। মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) তাঁদের বেতনের অংশ তাই তাঁরা সেই টাকা দাবি করতেই পারেন। তাদের আইনজীবীর পাঠানো আইনি চিঠিতে বলা হয়, ই-মেল পাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার না-করা হলে মঞ্চের তরফে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে সিপিএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘অফিসে না গেলে বা ধর্মঘট করলে সরকার বেতন কাটতে পারে। এর বাইরে তার কিছু করার ক্ষমতা নেই, তা সে যাই বলুক না কেন।’
যৌথ মঞ্চের ডাকা এই কর্মবিরতির প্রতিবাদে তৃণমূল রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন প্রতিটি অফিসে টিফিনের সময়ে মিছিল ও সভা করবে বলে জানিয়েছেন শাসক দলের পক্ষে কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানস ভুঁইয়া, যিনি রাজ্যের মন্ত্রীও।