ওয়েব ডেস্ক শিবরাত্রির পুণ্য তিথিতে মা কমলেশ্বরীর মন্দিরে আজ পূণ্যার্থীদের ঢল। বাংলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিহার এবং ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকেও হয়েছে ভক্ত সমাগম। বসেছে মেলা। সমস্ত এলাকা আজ উৎসবে মজে।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত তুলসিহাটা থেকে চন্ডিপুর যাওয়ার মধ্যবর্তী রাস্তায় মা কমলেশ্বরীর মন্দির। মা কমলেশ্বরী হলেন তান্ত্রিক প্রধান দেবীদের অর্থাৎ দশ মহাবিদ্যার অষ্টম তম মহাবিদ্যা। তুলসীহাটার স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রাম এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন বহু বছর আগে।
এই মন্দির প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে এক গল্প। মন্দিরের স্থানে প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বনাথ রাম বেল গাছের তলায় একটি পাথর দেখতে পান। স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি সেই পাথরের পূজা শুরু করেন। সেখান থেকেই একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠা হয় মা কমলেশ্বরী মন্দিরের। নিয়ম অনুসারে শুরু হয় পূজো। এগিয়ে আসে এলাকার যুবকেরা। প্রত্যেকদিন নিয়ম অনুসারে পূজা হয় মন্দিরে। প্রত্যেক মঙ্গল এবং শনিবার করে আর অমাবস্যা তিথিতে ভিড় হয় ভক্তদের।
এছাড়াও শিবরাত্রির পুণ্য তিথিতে, রাখি পূর্ণিমার দিনে এবং রামনবমীতে বহু মানুষের সমাগম হয়। এই মন্দিরেই রয়েছে শিবলিঙ্গ। শিবরাত্রির দিনে সেখানে পুজো এবং জল ঢালার জন্য আসে পার্শ্ববর্তী বিহার এবং ঝাড়খন্ড থেকেও পূজো দিতে আসেন ভক্তরা।
মন্দির কমিটির সম্পাদক অলক সিনহা বলেন, “করোনার ভ্রূকুটি কেটে যাওয়াই অন্য তিন বছরের তুলনায় এই বছর ভিড় অনেকটা বেশি। বর্তমানে মন্দির নির্মাণের কাজে সরকারের সহযোগিতা পেলে আমাদের সুবিধা হবে। রামনবমীর দিন নতুন মন্দির উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”