সংবাদদাতা,চাঁচল:
বিজেপি কর্মীর গাড়িতে থরে থরে ৫০০ টাকা নোটের বান্ডিল। রয়েছে উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থীর নাম লেখা প্রতীকি ব্যালট ও লিফলেট।গাড়িতে ঠাসা গেরুয়া শিবিরের দলীয় পতাকাও।যা দেখে রীতিমতো চক্ষুচড়ক গাছ নির্বাচন কমিশনের দল ও পুলিস আধিকারিকদের।বুধবার সন্ধ্যায় চাঁচলের পাহারপুর বাইপাস সড়কে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা নাকা তল্লাশি চালানোর সময় একটি চারচাকা আটকাতেই ঘটনা চাউর হয়।পুলিস জানায়,তল্লাশি চালিয়ে ওই গাড়িতে থাকা প্লাস্টিকের থলে থেকে নগদ ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।টাকার উৎস কেউ দেখাতে পারেনি বলে দাবি আধিকারিকদের।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই ঘটনার শুনানি হবে।সঠিক তথ্য ও উৎস না দেখানো না হলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
বুথ খরচের জন্য নেতৃত্ব টাকা দিয়েছিল দাবি গাড়িতে থাকা বিজেপি কর্মী তিলক রামের।তিনি চাঁচল বিধানসভা বিজেপি কার্যালয়ের ইনচার্জ বলে দাবিও করেন।ভোটের পাঁচদিন আগে নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।বিজেপি কালো টাকা দিয়ে ভোটার প্রভাবিত করার জন্য টাকা নিয়ে আমদানি করছিল বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।এদিকে এই ঘটনার পরেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি কর্মী তিলক রামকে দল থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয় নেতৃত্ব।নেতৃত্বের সাফাই,সেই টাকা বিজেপির নয়,ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।পুলিস ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।চাঁচল ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শেখ আফসার আলির অভিযোগ,বাংলায় শ্রমিকদের একশো দিনের বকেয়া টাকা দেইনি বিজেপি সরকার।সেই কালো টাকা দিয়ে এখন ভোট করাচ্ছে।তারা মেহেনতি শ্রমিকদের টাকা নিয়ে রাজনীতি করছে এটা লজ্জার বিষয়।কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি রাখছি।চাঁচল ১ ব্লক কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজি আতাউর রহমানের বক্তব্য,বিজেপি মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছে সেটা সবাই জানে।তাদের হার নিশ্চিত ভেবে গরীব মানুষের ভোট কেনার জন্য এলাকায় টাকা ছড়াচ্ছে।কমিশন নিরেপক্ষ তদন্ত করুক।সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে চাঁচল বিধানসভার বিজেপির কনভেনার সীতারাম সাহা বলেন,তিলক রাম আমাদের দলের কর্মী হলেও তিনি গাড়ির ড্রাইভার।এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছি আমরা।তৃণমূলের নেতারা একশো দিন সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একাধিক টাকা চুরি করে মানুষকে বঞ্চিত রেখেছে।তাদের মুখে এমন অভিযোগ মানায়না।